Saturday, June 7, 2025
প্রথম পাতাঅর্থনীতিবাণিজ্যে পুনরুদ্ধারে চট্টগ্রাম বন্দরের ইঙ্গিত

বাণিজ্যে পুনরুদ্ধারে চট্টগ্রাম বন্দরের ইঙ্গিত

বাণিজ্যে পুনরুদ্ধারে চট্টগ্রাম বন্দরের ইঙ্গিত

২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসের (জুলাই থেকে এপ্রিল) আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে ৬.৩৩%, যা চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।

এই সময়ে মোট ৭.৮৭ কোটি টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৭.৪০ কোটি টন। শুল্কযোগ্য আমদানির মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.২৩ লাখ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪.৩৫ শতাংশ বেশি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যমতে, জুলাই থেকে এপ্রিল সময়ে মোট ২৪.১৫ লাখ আমদানি ও রপ্তানি বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়েছে, যা আগের বছরের ২১.৮৫ লাখ থেকে ১১% বেশি। শুধু আমদানির ক্ষেত্রেই ৫.৭৩ লাখ বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়েছে, যেখানে আগের বছর ছিল ৫ লাখ।

ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ডলার সংকট ও এলসি জটিলতা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় আমদানিতে এ ধরণের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তাদের চলমান ধর্মঘট ভবিষ্যতের বাণিজ্য গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।

অন্যদিকে, আমদানির বৃদ্ধি শুল্ক আদায়েও প্রভাব ফেলেছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে চট্টগ্রাম কাস্টমস রাজস্ব আদায় করেছে ৬২,৮১৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের ৫৫,৫২২ কোটি টাকার তুলনায় ১৩.১৪ শতাংশ বেশি।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, “এলসি পরিস্থিতির উন্নতি ও ডলার সংকট প্রশমনের ফলে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”

অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইউনিটের উপ-কমিশনার কাজী রায়হানুজ্জামান বলেন, শুল্ক ফাঁকি রোধে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং অনিয়ম, মানি লন্ডারিং ও চোরাচালান রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ায় রাজস্ব আদায় আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ।

স্টকনাউ/

আরও পড়ুন

1 Comment

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত

সর্বশেষ মন্তব্য সমূহ