
অর্থ বিভাগের ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (NBR) যৌথ উদ্যোগে চালু হলো শুল্ক ও কর সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমার a-Challan (অটোমেটেড চালান) পদ্ধতি। নতুন এই পদ্ধতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে কার্যকর হয়েছে।
এই ডিজিটাল চালান ব্যবস্থায় আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং তাদের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এখন থেকে যেকোনো সময় (২৪/৭) অনলাইনে বা অফলাইনে শুল্ক ও সংশ্লিষ্ট কর সরাসরি সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারবেন। এটি Customs Asycuda World System এবং অর্থ বিভাগের iBAS++ এর মধ্যে সফল ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এর ফলে পণ্যের দ্রুত ছাড় (clearance) নিশ্চিত হবে এবং জমাকৃত অর্থ সঙ্গে সঙ্গে কোষাগারে পৌঁছানোর মাধ্যমে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ ব্যবহার করতে পারবে।
প্রধান বৈশিষ্ট্য ও সুবিধাসমূহ:
- ২৪ ঘণ্টা শুল্ক পরিশোধের সুবিধা: আগে ব্যাংকিং সময়ের মধ্যে RTGS-এর মাধ্যমে জমা করা অর্থ কোষাগারে পৌঁছাতে কয়েক দিন সময় লাগত।
- সরাসরি ট্রেজারিতে জমা: প্রথম দিনেই ৭৫টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ১৩০ কোটির বেশি শুল্ক কোষাগারে জমা হয়েছে।
- বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন: ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, এবং বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, এমক্যাশ, ট্রাস্টপে ইত্যাদির মাধ্যমে অর্থ জমার সুযোগ।
- পোর্ট ক্লিয়ারেন্সে সহজতর ব্যবস্থা: চালানের রশিদের মাধ্যমে সরাসরি পণ্য ছাড়।
- ব্যাংক কাউন্টারেও পেমেন্ট: ৬১টি ব্যাংকের ১১,৭০০টি শাখা থেকে চালান জমা দেওয়া যাবে অ্যাকাউন্ট ডেবিট বা চেক ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে।
বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ:
- ১-২ জুলাই: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং কাস্টমস কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ।
- ৩ জুলাই: চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু।
- ৭ জুলাই থেকে: ঢাকা কাস্টম হাউসসহ দেশের সব কাস্টম হাউসে চালু হচ্ছে এই আধুনিক চালান পদ্ধতি।
এটি সরকারের রাজস্ব আহরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে এবং প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ ও কার্যকর করবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
