
বাংলাদেশ জুলাই মাসে রপ্তানিতে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে, যা দাঁড়িয়েছে ৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে—যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪.৯% বেশি। এটি দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (EPB) তথ্য অনুযায়ী, আগের সর্বোচ্চ রপ্তানি ছিল ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে, যার পরিমাণ ছিল ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার। যদিও জানুয়ারি ২০২৪-এ প্রাথমিকভাবে রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল বলে জানা যায়, পরে তা সংশোধন করে ৪.১২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়।
রপ্তানিকারকরা মনে করছেন, এবারের প্রবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে ঈদের পরবর্তী চাপ, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কা এবং গত বছরের নিম্ন বেস ইফেক্ট।
রপ্তানির উত্থানের কারণ হিসেবে যা উঠে এসেছে:
- ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতায় বহু কারখানা বন্ধ ছিল, যার ফলে রপ্তানি কমে যায় এবং এবারের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে বেশি দেখাচ্ছে।
- মার্কিন বাজারে শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে আমদানিকারকরা আগেভাগে পণ্য পাঠাতে চাপ দিয়েছেন।
- চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রযোজ্য হবে না, এমন খবরে রপ্তানিকারকরা আরও বেশি সরবরাহে মনোযোগী হয়েছেন।
পোশাক খাতের আধিপত্য:
দেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৫% আসে পোশাক খাত থেকে, যা জুলাই মাসে প্রায় ২৫% হারে বেড়েছে।
অন্যান্য খাতেও উন্নতি দেখা গেছে:
- হিমায়িত মাছ ও জীবিত মাছ: ৪৩% বৃদ্ধি
- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: ৩০%
- অন্যান্য পাদুকা: ৪৪%
- কৃষিপণ্য: ১৩%
- প্লাস্টিক পণ্য: ৭%
- হোম টেক্সটাইল: ১৩%
- পাট ও পাটজাত পণ্য: ৫%
চলতি মাসেও আশাবাদী রপ্তানিকারকরা:
BGMEA এবং BKMEA নেতৃবৃন্দ আশা করছেন, আগস্ট মাসেও রপ্তানি আয় ভালো থাকবে, কারণ মার্কিন ক্রেতারা শুল্কছাড় সুবিধা পাওয়ার জন্য দ্রুত পণ্য পাঠাতে চাইছেন।
