
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। উক্ত প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) হয়েছে ঋণাত্মক ৩.১১ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ইতিবাচক ২.৫৮ টাকা। জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে মোট EPS দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬.৬১ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২.৩৭ টাকা—যা একটি উল্লেখযোগ্য পতন নির্দেশ করে।
এই সময়ে কোম্পানির নগদ প্রবাহে উন্নতি হয়েছে। জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ (NOCFPS) ছিল ১২.৫২ টাকা, যা ২০২৪ সালে ছিল ৫.৯৩ টাকা। তবে কোম্পানির সম্পদমূল্যে উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটেছে—৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (NAV) দাঁড়িয়েছে ১৮.২০ টাকা, যেখানে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ছিল ২৫.৮১ টাকা।
বিনিয়োগকারীদের জন্য উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ:
- টার্নওভার ১৫.৪% বৃদ্ধি পেলেও গ্রস প্রফিট মার্জিন কমেছে ১.৭%।
- মূল্য বৃদ্ধি না করতে পারায় প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে গিয়ে গ্রস মার্জিনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
- বিজ্ঞাপন, বিক্রয় প্রচার, ব্যাংক চার্জ, ওয়ারেন্টি খরচ এবং জাহাজীকরণ বিলম্বের জন্য ডিমারেজ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় অপারেটিং প্রফিট ৫.১% কমেছে।
- অপারেটিং খরচ ১৪% বেড়েছে।
- ফিনান্স খরচ ১৭৫.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার পেছনে রয়েছে স্বল্পমেয়াদি ঋণ ব্যবহারের হার ও সুদের হার বৃদ্ধির প্রভাব এবং ইউরো-টাকার এক্সচেঞ্জ রেটে ৪.২% অবমূল্যায়নজনিত অমোচনীয় এক্সচেঞ্জ লস।
- এসব ঋণ মূলত বিএসইজেড-এ নতুন কারখানা নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে উৎপাদন ক্ষমতা তিনগুণ বাড়িয়ে খরচ হ্রাস ও মুনাফা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
