Tuesday, June 17, 2025
প্রথম পাতাঅর্থনীতিআরও শক্তিশালী হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান

আরও শক্তিশালী হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অর্থনীতির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ২৯.৩৩% বেড়ে ২.৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা প্রতিযোগীদের তুলনায় অনেক বেশি প্রবৃদ্ধি। এ তথ্য দিয়েছে US Office of Textiles and Apparel (OTEXA)

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং সাম্প্রতিক ১২৫% শুল্ক আরোপ চীনা পণ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে মার্কিন ক্রেতারা চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানিতে আগ্রহী হচ্ছেন।

📊 বাজারের চিত্র:

  • জানুয়ারি-এপ্রিল ২০২৫:
    • বাংলাদেশ: +29.33%
    • ভিয়েতনাম: +16.06%
    • ভারত: +20.30%
    • পাকিস্তান: +19.57%
    • চীন: মাত্র +0.66%
  • শুধু এপ্রিল মাসে:
    • বাংলাদেশ: +38%
    • চীন: -13%
    • কম্বোডিয়া: +39%
    • পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা: +26%
    • ভারত: +10%
    • ভিয়েতনাম: +2%

বিশেষজ্ঞ ড. মোস্তাফা আবিদ খান মনে করেন, এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের পোশাক খাত চীনের হারানো মার্কেট শেয়ার ধরতে পেরেছে।

অন্যদিকে, ফজলুল হক, সাবেক সভাপতি, BKMEA, বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে আগেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এখন এসব অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে।”

ফজলে শামীম এহসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, Fatullah Fashions Ltd, বলেন, “ট্রাম্পের প্রভাবশালী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে মার্কিন ক্রেতারা আগেই চীন থেকে অর্ডার কমিয়ে ফেলেছিল। ফলে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের রপ্তানি বাড়ছে।”

📦 রপ্তানির পরিমাণ ও মূল্য:

  • বাংলাদেশ: 28.30% বেশি ইউনিট রপ্তানি (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)
  • ইউনিট দাম বেড়েছে মাত্র ০.৮০%
    • ভিয়েতনাম: +3.58%
    • চীন, ভারত, পাকিস্তান: ইউনিট দাম কমেছে

এটি ইঙ্গিত দেয়, বাংলাদেশ কম মূল্যে বেশি রপ্তানি করছে, ফলে লাভজনকতা প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশ্লেষকদের মতে, ভিয়েতনামের উচ্চ ইউনিট দাম দেখায় যে তারা ব্র্যান্ড পজিশনিংভ্যালু অ্যাডিশনে বেশি মনোযোগী, যা বাংলাদেশের জন্যও টেকসই সাফল্যের জন্য জরুরি।

⚠️ শুল্ক ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা:

  • ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর নতুন শুল্ক ৩ মাসের জন্য স্থগিত রেখেছে, যা এই মাসেই শেষ হতে যাচ্ছে।
  • এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, যা আগামী দিনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

ড. মোস্তাফা আবিদ খান বলেন, “বাংলাদেশের রপ্তানির অনেক উপাদান চীন থেকে আমদানি করা হয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র এই ‘চায়না-সংশ্লিষ্ট’ ইনপুট নিয়ে কী অবস্থান নেয়, তা গুরুত্বপূর্ণ।”

আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ।

স্টকনাউ/

আরও পড়ুন

Leave a reply

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বাধিক পঠিত

সর্বশেষ মন্তব্য সমূহ