চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ১০ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে দেশের আমদানি বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এবার পণ্য আমদানি হয়েছে ৭.৮৭ কোটি টন, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ৭.৪০ কোটি টন।
এই সময়ে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের ভিত্তিতে শুল্কযোগ্য পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.২৩ লাখ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এর মানে, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে একটা ভালো পরিবর্তনের আভাস মিলছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানিয়েছে, এই সময়ে তারা ২৪.১৫ লাখ আমদানি ও রপ্তানি বিল গ্রহণ করেছে, যেখানে আগের বছর ছিল ২১.৮৫ লাখ। শুধু আমদানির ক্ষেত্রেই এবার জমা পড়েছে ৫.৭৩ লাখ বিল, আগের বছর যা ছিল ৫ লাখ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডলার সংকট আর এলসি খোলার সমস্যাগুলো কিছুটা সহজ হওয়ায় এখন ব্যবসার গতি বাড়ছে। তবে তারা সতর্ক করেছেন, কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে আবার কিছুটা জট তৈরি হচ্ছে, যেটা দ্রুত সমাধান না হলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমদানি বাড়ার ফলে রাজস্ব আদায়ও বেড়েছে। ১০ মাসে আদায় হয়েছে ৬২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ৫৫ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।
অন্য এক কর্মকর্তা কাজী রায়হানুজ্জামান বলেন, তারা শুল্ক ফাঁকি ও পাচার বন্ধ করতে নজরদারি বাড়িয়েছেন। এজন্য কিছু প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে রাজস্ব ফাঁকি কমেছে এবং সরকারের আয় বেড়েছে।
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, দেশের আমদানি ও বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান দরকার, নইলে এই অগ্রগতি থমকে যেতে পারে।
[…] আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। […]